ট্রান্সফরমার অয়েল এর কার্যকারিতা এর গুণাগুণের উপর নির্ভর করে যা গুরুত্ব সহকারে পরিমাপ এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। ট্রান্সফরমার অয়েল এর এই গুণাগুণ গুলোই ইলেকট্রিক্যাল ইকুইপমেন্টকে দক্ষতার সাথে শীতলীকরণ, ইনসুলেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা করে। একটি ভালো ট্রান্সফরমার অয়েলের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলি হলো:
১. উচ্চ ডাইইলেকট্রিক স্ট্রেন্থ: কোনো পদার্থের ডাইইলেকট্রিক শক্তি বলতে বোঝায়, ওই পদার্থ সর্বোচ্চ যত ভোল্টেজ পর্যন্ত তার ইনস্যুলেটিং প্রপার্টি বজায় রাখতে পারে এবং কারেন্ট প্রবাহে বাধা দিতে পারে। ভালো ট্রান্সফরমার অয়েলের উচ্চ ডাইইলেকট্রিক স্ট্রেন্থ থাকে, যা ট্রান্সফরমারের বিভিন্ন অংশের মধ্যে উচ্চ আইসোলেশন প্রদান করে।
২. উচ্চ ফ্ল্যাশ পয়েন্ট: ফ্ল্যাশ পয়েন্ট হল একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা, যার উপরে গেলে তেলে আগুন ধরতে পারে। উচ্চ ফ্ল্যাশ পয়েন্ট থাকলে ট্রান্সফরমারের তেলের দাহ্যতা কম থাকে, যা ট্রান্সফরমারকে উচ্চ তাপমাত্রায় নিরাপদে পরিচালিত করতে সহায়তা করে।
৩. লো ভিস্কসিটি: কোনো তরল পদার্থ প্রবাহিত হওয়ার সময় যে বাধা অনুভব করে তাকে ভিস্কোসিটি বলে। ভিস্কসিটি কম থাকলে তেলটি সহজেই ট্রান্সফরমারের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং কুলিং এফিসিয়েন্সি বাড়ায়।
৪. নিম্ন অক্সিডাইজেশন: অক্সিডেশন হতে থাকলে তেল ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায় এবং তার কার্যক্ষমতা কমে যায়। ভালো ট্রান্সফরমার অয়েলে কম অক্সিডেশন হয়, ফলে এটি দীর্ঘদিন কার্যকর থাকে।
৫. নিম্ন জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি: ট্রান্সফরমার অয়েল এ জলীয় বাষ্প থাকলে এর ডাইলেকট্রিক স্ট্রেংথ হ্রাস পায় এবং এর ইন্সুলেশন প্রপার্টি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ট্রান্সফরমার অয়েলে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি অব্যশই কম হতে হবে এবং নিয়মিত তদারকী করতে হবে।
৬. নিম্ন Pour Point: সর্বনিম্ন যে তাপমাত্রায় অয়েল না জমে প্রবাহিত হতে পারে সেই তাপমাত্রাকে অয়েল এর Pour Point বলে। শীতপ্রধান এলাকায় নিম্ন Pour Point যুক্ত অয়েল ব্যবহার করা অত্যাবশ্যক যাতে নিম্ন তাপমাত্রায়ও দক্ষতার সাথে কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়।